এই বর্ষাকাল রচনা টি যেকোন ক্লাসের জন্য। যারা ক্লাস ৭ম শ্রেনীতে আছে তাদের জন্যও এই বর্ষাকাল রচনা টি। আবার ক্লাস দশম শ্রেনীতে আছো তাদের জন্য এই বর্ষাকালরচনা । অর্থাৎ ক্লাস ৭ম শ্রেনী থেকে ১০ম দশম শ্রেনী পর্যন্ত সবার প্রযোজ্য এই বর্ষাকাল রচনা । রচনাটি পড়ার আগে তোমরা রচনা লেখার নিয়ম ও সুচিপত্রটি দেখা নাও।


প্রবন্ধ রচনা - প্রবন্ধ রচনার কৌশল - প্রবন্ধের কাঠামো, প্রবন্ধ রচনার দক্ষতা আসবে যেভাবে

 বর্ষাকাল


সূচনা: বাংলার ছয়টি ঋতুর মধ্যে বর্ষা সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের। বর্ষাকালে অঝোর বৃষ্টিতে প্রকৃতির রূপ বদলে যায়। বাংলা মাসের হিসেবে আষাঢ় ও শ্রাবণ এ দুই মাস বর্ষাকাল। কিন্তু এদেশে বর্ষা স্থায়ী হয় ভাদ্র মাস পর্যন্ত। গ্রীষ্মের দারুণ তাপে প্রকৃতি যখন তপ্ত ও রুক্ষ হয়ে ওঠে তখন শীতল প্রাণের পরশ নিয়ে আসে বর্ষা ।

বর্ষার আগমন: বর্ষাকাল এলেই প্রকৃতিতে শুরু হয় মেঘ-বৃষ্টির খেলা। আকাশজুড়ে ভেসে বেড়ায় কালো মেঘ। আকাশে ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকায়। মেঘের মাদল বাজে গুরু-গুরু। মেঘের সেই গর্জনের মধ্যেই আগমন হয় বর্ষার।

বর্ষার প্রকৃতি: বর্ষাকাল মানেই মেঘ-বৃষ্টির মধুর খেলা। কখনও ঝিরি ঝিরি বা কখনও বৃষ্টি পড়ে অঝোর ধারায়। নজীতা পায়। সবুজ বনানী হয়ে ওঠে আরও সবুজ। শীতল বৃষ্টি প্রকৃতি ও জনজীবনে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়। গরমে শুকিয়ে যাওয়া নদ-নদী, খাল-বিল, দিঘি-পুকুর, ভরপুর হয়ে ওঠে। মাঠঘাট পানিতে থৈ থৈ করে। গাছপালা। গরমের ক্লান্তি কেটে যায় ।বর্ষায় জনজীবন: বর্ষাকালে গ্রামের পথঘাট ভরে ওঠে জলকাদায়। নিচু জায়গাগুলোতে জল জমে যায়। বৃষ্টি বেশি হলে অনেক স্থানে দেখা দেয় বন্যা। ছোট ছোট গ্রামগুলো যেন দ্বীপের মতো জলে ভাসে। এ রকম সময়ে নৌকা ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। দরিদ্র মানুষদের জন্য এ পরিস্থিতি খুবই কষ্টদায়ক। বর্ষাকাল শহুরে জীবনেও ব্যাপক প্রভাব ফেলে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। অবিরাম বৃষ্টিতে পানি জমে যায় রাস্তাঘাটে। যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। যেকোনো স্থানে পৌঁছতে পোহাতে হয় নানা দুর্ভোগ।

কৃষির উপর বর্ষার প্রভাব: বর্ষাকাল কৃষি ও কৃষকের জন্যে সুদিন। কৃষিকাজের জন্যে প্রচুর পানি দরকার হয়। বর্ষাকালে কৃষক ব্যস্ত হয়ে পড়ে জমি চাষে। বাঙালির প্রধান খাদ্যশস্য ধান চাষের উপযুক্ত সময় বর্ষাকাল। এ সময় জলভরা মাঠে কচি কচি ধান গাছ বেড়ে ওঠে সতেজভাবে। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে যায় ময়লা আবর্জনা । তবে বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে অনেক ফসলের ক্ষতিও হয়।

বর্ষার উপকারিতা: কৃষিপ্রধান এদেশে বর্ষা সাধারণত আশ্বাসের বার্তা নিয়ে আসে। এদেশে চাষাবাদ আর ফলন নির্ভর করে বর্ষার বৃষ্টির ওপর। স্বাভাবিক বর্ষায় সরস জমিতে ফসলও হয় চমকপ্রদ। এ সময় নানারকম শাকসবজি আর ফলমূল পাওয়া যায়। বর্ষায় আনারস, জামরুল, পেয়ারা আর জামের ফলন হয় বেশি। ফসলের প্রাণ পলিমাটি এই বর্ষার প্লাবনেই তৈরি হয়। কৃষকের জমি হয়ে ওঠে নরম আর উর্বর। বর্ষাকালে মাছেরা দ্রুত বংশ বিস্তার করে। পানিতে টইটুম্বুর পুকুর, দিঘি, জলাশয় হয়ে ওঠে মাছেদের স্বচ্ছন্দ বিচরণক্ষেত্র। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জলপথে যাতায়াত সহজ হয়।

বর্ষার অপকারিতা: বর্ষাকালে মানুষের ভোগান্তিও বাড়ে। অতিবৃষ্টি হলে চাষাবাদের ক্ষতি হয়। কয়েকদিন বৃষ্টি হলে নদী ও অন্যান্য জলাশয়ের পানি ভরে বন্যার রূপ নেয়। তা ভাসিয়ে নিয়ে যায় ঘরবাড়ি, ফসলের মাঠ, গবাদি পশু। গ্রামের মাটির ঘর ধসে পড়ে। বানভাসি মানুষের জীবন হয় বিপন্ন। কখনও কখনও প্রাণহানিও ঘটে। এতে অনেকেই হয়ে পড়ে সর্বস্বান্ত। বন্যার ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি পায়। বাড়ে কলেরা, জন্ডিস, আমাশয়, টাইফয়েড প্রভৃতি রোগের প্রকোপ। বন্যায় মানুষের দুর্গতি হয় সীমাহীন।

উপসংহার: বর্ষা আছে বলেই বাংলাদেশ সবুজ-শ্যামল। বর্ষা না থাকলে এ দেশ মরুভূমিতে পরিণত হতো। আমাদের কৃষি ও গ্রামীণ জীবনযাত্রা বিশেষভাবে বর্ষার উপর নির্ভরশীল। তাই কিছু অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও বর্ষা আমাদের জন্য আশীর্বাদ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ বর্ষাকাল রচনা

শিক্ষার্থীরা  আজকে আমরা জানলাম বর্ষাকাল রচনা সম্পর্কে  । যদি আজকের এই বর্ষাকাল রচনা টি ভালো লাগে তাহলে এখনি ফেসবুকে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন আর এই রকমই নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ । Search-Asked BD

বর্ষাকাল রচনা class 7,বর্ষাকাল রচনা,বর্ষাকাল রচনা ক্লাস 6,বর্ষাকাল প্রবন্ধ রচনা ক্লাস 7,বাংলাদেশের ষড়ঋতু রচনা ক্লাস 7,বসন্তকাল রচনা,বাংলাদেশের ষড়ঋতু রচনা সহজ,বাংলাদেশের ষড়ঋতু রচনা ক্লাস ৩,বর্ষাকাল রচনা ক্লাস 7,বসন্তকাল রচনা ক্লাস 8,বর্ষাকাল সম্পর্কে রচনা,বসন্তকাল রচনা ক্লাস 7,,

Post a Comment

Previous Post Next Post