শ্রমকে শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করো। কালি-ধুলার মাঝে, রৌদ্রবৃষ্টিতে কাজের ডাকে নেমে যাও। বাবু হয়ে ছায়ায় পাখার তলে থাকবার কোনো দরকার নেই। এ হচ্ছে মৃত্যুর আয়োজন। কাজের ভিতর কুবুদ্ধি, কুমতলব মানবচিত্তে বাসা বাঁধতে পারে না। কাজে শরীরে সামর্থ্য জন্মে। স্বাস্থ্য, শক্তি, আনন্দ স্ফূর্তি সবই লাভ হয়। পরিশ্রমের পর যে অবকাশ লাভ হয় তা পরম আনন্দের অবকাশ। তখন কৃত্রিম আয়োজন করে আনন্দ করার কোনো প্রয়োজন হয় না। শুধু চিন্তার দ্বারা জগতের হিত সাধন হয় না। শুধু চিন্তা করে মানুষ পূর্ণ জ্ঞান লাভ করতে সমর্থ হয় না। মানবসমাজে মানুষের সাথে কাজে, রাস্তায়, কারখানায়, মানুষের সঙ্গে ব্যবহারে মানুষ নিজেকে পূর্ণ করে। চিন্তা ও পুস্তক মানবমনের পাপড়ি খুলে দেয় মাত্র, বাকি কাজ সাধিত হয় সংসারের কর্মক্ষেত্রে।


সারাংশ: মানুষের সামগ্রিক উন্নতির মূলে রয়েছে শ্রম। শ্রমের পর অবকাশ যাপনে পাওয়া যায় নির্মল আনন্দ। শ্রম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরিপূর্ণ মানুষ হওয়া যায় না। চিন্তা ও পুস্তক জ্ঞানের যে দ্বার উন্মোচন করে, তা পূর্ণতা পায়। কায়িক শ্রমের মাধ্যমে। তাই শ্রমকে শ্রদ্ধাভরে গ্রহণ করা সকলের একান্ত কতব্য।

Post a Comment

Previous Post Next Post