এই বাংলা নববর্ষ অনুচ্ছেদ রচনাটি যেকোন ক্লাসের জন্য। যারা ক্লাস ৭ম শ্রেনীতে আছে তাদের জন্যও এই বাংলা নববর্ষ অনুচ্ছেদ রচনাটি। আবার ক্লাস দশম শ্রেনীতে আছো তাদের জন্য এই বাংলা নববর্ষ অনুচ্ছেদ রচনা। অর্থাৎ ক্লাস ৭ম শ্রেনী থেকে ১০ম দশম শ্রেনী পর্যন্ত সবার প্রযোজ্য এই বাংলা নববর্ষ অনুচ্ছেদ রচনা। রচনাটি পড়ার আগে তোমরা অনুচ্ছেদ রচনালেখার নিয়ম ও সুচিপত্রটি দেখা নাও। 

বাংলা নববর্ষ

পয়লা বৈশাখ হলো বাঙালির নববর্ষ উদযাপন-উৎসব। বাংলাদেশে এই উৎসব খ্রিস্টিয় এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখে পালিত হয়। এটি বাংলাদেশের একটি জাতীয় উৎসব। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সকল বাঙালি এই উৎসব পালন করে থাকে। সে হিসেবে এটি বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব। একটি অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক দেশ গঠনে পয়লা বৈশাখের ভূমিকা রয়েছে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, সম্রাট আকবরের সময় (১৫৫৬ খ্রি:) থেকে বাংলা সনের গণনা শুরু হয়। সম্রাট আকবরের নির্দেশে জ্যোতির্বিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। পরবর্তীতে জমিদার নবাবেরা নববর্ষে পূণ্যাহের আয়োজন শুরু করেন। নববর্ষে সারা দেশের সাধারণ মানুষ হালখাতা, বৈশাখী মেলা এবং বিভিন্ন লোকজমেলার আয়োজন করে।সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ১৯৬৭ সাল থেকে রমনার বটমূলে নববর্ষের অনুষ্ঠান আয়োজন করে আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকেও নববর্ষ উপলক্ষ্যে মঙ্গল-শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। নববর্ষের দিনে ছেলেরা পাজামা-পাঞ্জাবি এবং মেয়েরা নানা রঙের শাড়ি পরে ঘুড়ে বেড়ায়। চারিদিকে এক বর্ণিল পরিবেশ তৈরি হয়।এই দিনে প্রত্যেক বাঙালি নিজের, বন্ধুর পরিবার দেশের সুখ, শান্তি সমৃদ্ধি কামনা করে।

বাংলা নববর্ষ

সময়ের স্রোতে একটি বছর শেষে আসে আরেকটি নতুন বছর। বাংলা সনের নতুন বছরের আগমনকে বাংলা নববর্ষ বলে বরণ করা হয়। বাংলা নববর্ষের সূচনা হয় পহেলা বৈশাখ। পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি উৎসবমুখর দিন। নানা আয়োজনে এই দিন উদযাপিত হয়। তাই আর এই দিনটিই সবার কাছেবাংলা নববর্ষ' হিসেবে পরিচিত আনন্দ-উৎসবের এই দিনটি বাঙালি জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্য বহন করে প্রাণে প্রাণে সঞ্চারিত করে সর্বজনীন আনন্দ ধারা। বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ- এক গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। নববর্ষের উৎসব বাঙালির প্রাণের উৎসব। বাংলা নববর্ষ ব্যবসায়ীদের হালখাতা অনুষ্ঠান, বৈশাখি মেলা, বলী খেলা, ঘোড়া দৌড়, সংগীতানুষ্ঠান, শোভাযাত্রা এবং নানা লোকজ মেলার আয়োজন করে বাঙালি জাতি উৎসবকে প্রাণে ধারণ করেছে। তাই দেশজুড়ে পালিত হয় এই সর্বজনীন বাংলা নববর্ষ উৎসব। মুঘল সম্রাট আকবর চান্দ্র হিজরি সনের সঙ্গে ভারতবর্ষে প্রচলিত সৌর সনের সমন্বয়সাধন করে ১৫৫৬ সালে বা ৯৯২ হিজরিতে বাংলা সন চালু করেন। সুদূর অতীত থেকে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৈশাখের প্রথম দিনটিতে বার্ষিক মেলা বসে। নববর্ষ উদযাপনের নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে বৈশাখি মেলা সবচেয়ে জনপ্রিয় চিত্তাকর্ষক। বাংলা নববর্ষে বকেয়া আদায়ের জন্য ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টিমুখর আয়োজন করেন। এই অনুষ্ঠানকে বলা হয় হালখাতা। পুরাতন বছরের হিসাব চুকিয়ে নতুন খাতায় ক্রেতার নতুন হিসাব লেখা হয় বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে জাঁকজকপূর্ণ অনুষ্ঠান হয় রাজধানী ঢাকায় রমনার পাকুড়মূলে ভোর থেকে ছায়ানটের শিল্পীরা সংগীতানুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিনটিকে বরণ করে নেয়। চারুকলা ইনস্টিটিউট আয়োজন করে লোকজ চিত্রকলা শোভিত শোভাযাত্রা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তথা দোকানে দোকানে চলে হালখাতার মিষ্টিমুখের স্নিগ্ধ আয়োজন। বিনিময় হয়শুভ নববর্ষ’-এর অফুরন্ত শুভেচ্ছা। বাংলা নববর্ষ বাঙালির ঐতিহ্য চেতনার স্মারক,বাঙালির গৌরববহ সাংস্কৃতিক পরিচয়

নববর্ষ

বাংলা নববর্ষ বাঙালির জীবনে অত্যন্ত প্রাণবন্ত একটি উৎসব। বাংলা সনের প্রথম মাস হলো বৈশাখ। পয়লা বৈশাখেই নববর্ষ অর্থাৎ বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয়। বাংলা সন কে কবে প্রচলন করেছেন তা নিয়ে মতভেদ থাকলেও ধরে নেওয়া হয় সম্রাট আকবরের সময়েই সনের গণনা শুরু হয়। তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবার নববর্ষের অনুষ্ঠান গুরুত্ব দিয়ে পালন করায় উৎসব দেশময় ছড়িয়ে পড়ে। নববর্ষে হালখাতা, বৈশাখি মেলা, ঘোড়দৌড় প্রভৃতি নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সকল মানুষ নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। বিগত বছরের সকল দুঃখ-বেদনাকে ভুলে নতুন উদ্যমে শুরু হয় নতুন বছর। নববর্ষে একসময় পূণ্যাহ অনুষ্ঠান হতো। বর্তমানে তা ব্যবসায়ীরা পালন করেন হালখাতা। শহরে নৃত্য-গানে বরণ করে নেওয়া হয় বছরের প্রথম দিনটিকে। ঢাকায় চারুকলার ছাত্রদের উদ্যোগে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। তাদের মঙ্গল শোভাযাত্রায় সর্বস্তরের অসংখ্য মানুষ অংশ নেয়। কৃষকদের ঘরে ঘরে আয়োজিত হয় নানা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান। বাংলা নববর্ষ আমাদের প্রধান জাতীয় চল উৎসব সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে উৎসব আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।


 বাংলা নববর্ষ

পয়লা বৈশাখ হলো বাঙালির নববর্ষ উদযাপন-উৎসব। বাংলাদেশে এই উৎসব খ্রিষ্টীয় এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখে পালিত হয়। এটি বাংলাদেশের একটি জাতীয় উৎসব। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সকল বাঙালি এই উৎসব পালন করে থাকে। সে হিসেবে এটি বাঙালির একটি সর্বজনীন লোক উৎসব। একটি অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক দেশ গঠনে পয়লা বৈশাখের ভূমিকা রয়েছে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, সম্রাট আকবরের সময় (১৫৫৬ খ্রি.) থেকে বাংলা সনের গণনা শুরু হয়। সম্রাট আকবরের নির্দেশে জ্যোতির্বিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। পরবর্তীতে জমিদার নবাবেরা নববর্ষে পুণ্যাহের আয়োজন শুরু করেন। নববর্ষে সারা দেশের সাধারণ মানুষ হালখাতা, বৈশাখী মেলা এবং বিভিন্ন লোকজ মেলার আয়োজন করে। সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ১৯৬৭ সাল থেকে রমনার বটমূলে নববর্ষের অনুষ্ঠান আয়োজন করে আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকেও নববর্ষ উপলক্ষ্যে মঙ্গল-শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। নববর্ষের দিনে ছেলেরা পাজামা-পাঞ্জাবি এবং মেয়েরা নানা রঙের শাড়ি পরে ঘুরে বেড়ায়। চারদিকে এক বর্ণিল পরিবেশ তৈরি হয়। এই দিনে প্রত্যেক বাঙালি নিজের, বন্ধুর পরিবার দেশের সুখ, শান্তি ওসমৃদ্ধি কামনা করে।


 আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাংলা নববর্ষ

শিক্ষার্থীরা  আজকে আমরা জানলাম বাংলা নববর্ষ অনুচ্ছেদ রচনাসম্পর্কে  । যদি আজকের এই বাংলা নববর্ষ অনুচ্ছেদ রচনাটি ভালো লাগে তাহলে এখনি ফেসবুকে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন আর এই রকমই নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ । Search-Asked BD

পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ,নববর্ষ অনুচ্ছেদ,বাংলা নববর্ষ অনুচ্ছেদ,অনুচ্ছেদ বাংলা নববর্ষ,বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদ,শীতের সকাল অনুচ্ছেদ for class 3,অনুচ্ছেদ শীতকাল,পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ class 6,শীতের সকাল রচনা ২০ পয়েন্ট,শীতের সকাল অনুচ্ছেদ for class 8,আমার প্রিয় মানুষ অনুচ্ছেদ,bangla noboborsho onuched class 7,অনুচ্ছেদ রচনা বাংলা নববর্ষ,পয়লা বৈশাখ অনুচ্ছেদ,অনুচ্ছেদ নববর্ষ,লোকজ মেলা অনুচ্ছেদ,অনুচ্ছেদ পহেলা বৈশাখ,pohela boishakh onucched in bangla,boishakhi mela onucched bangla,বৈশাখী মেলা রচনা,,

Post a Comment

Previous Post Next Post