এই শীতের সকাল অনুচ্ছেদ টি যেকোন ক্লাসের জন্য। যারা ক্লাস ৭ম শ্রেনীতে আছে তাদের জন্যও এই শীতের সকাল রচনা টি। আবার ক্লাস দশম শ্রেনীতে আছো তাদের জন্য এই শীতের সকাল অনুচ্ছেদ । অর্থাৎ ক্লাস ৭ম শ্রেনী থেকে ১০ম দশম শ্রেনী পর্যন্ত সবার প্রযোজ্য এই শীতের সকাল অনুচ্ছেদ । অনুচ্ছেদটি পড়ার আগে তোমরা রচনা লেখার নিয়ম ও সুচিপত্রটি দেখা নাও।
আমার প্রিয় ঋতু: শীতকাল - রচনা ( ক্লাস 7,8,9,10)
শীতের
একটি সকাল
পৌষ-মাঘ মাসে কুয়াশার চাদর গায়ে শীতের আগমন ঘটে। শহুরে পরিবেশের চেয়ে গ্রামীণ পরিবেশে শীতের আমেজ বেশি উপভোগ করা যায়। এ কারণেই এক
শীতের ছুটিতে মা-বাবা, বড়
বোন ও আমি দাদা
বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। ভোরে ওঠার অভ্যাস না থাকলেও দাদির
ডাকে ঘুম ভাঙল শীতের পিঠা খাওয়ার জন্য। ঠাণ্ডা বাতাসের শুদ্ধ স্পর্শে শীতের তীব্রতা বুঝতে পারলাম। গায়ে চাদর জড়িয়ে উঠানে নেমে দেখলাম ঘন কুয়াশায় আস্তরণ
চারদিকে। আর এর মাঝেই
চাচি আর দাদি মিলে
ভাপা পিঠা তৈরি করছে। চাচা গ্লাস ভর্তি খেজুরের রস খেতে দিলেন
যা খেয়ে আমার শীত আরও বেড়ে গেল। পুকুরের দিকে তাকিয়ে মনে হলো যেন ধোঁয়া উঠছে। গ্রামের কৃষকেরা এই তীব্র শীতেও
লাঙল কাঁধে গরু নিয়ে মাঠে যাচ্ছে। পূর্বদিকে রং ছড়িয়ে সূর্য
উঠছে। সেই সূর্যের আলো শিশির ভেজা ঘাসে পড়ে মুক্তার মতো মনে হচ্ছিল। আস্তে আস্তে উঠানের একপাশেও রোদ পড়ল, সেখানে দাদি পাটি বিছিয়ে খেজুর রসের পায়েস খেতে দিলেন। শহুরে পরিবেশে শীতের সকাল বোঝা না গেলেও গ্রামে
এসে শীতের সকালে সুখকর অনুভূতির পরশ পেলাম
শীতের
সকাল
অজস্র
সুখ-ভোগ আর আনন্দের ডালি
দিয়ে শীত নামক ঋতু বাংলাদেশে আসে। শীত আসে রূপ ও রসের ডালি
সাজিয়ে বাংলার গ্রাম-নগর-শহর-বন্দরে। প্রকৃতির অপরূপ নৈসর্গিক লীলায় আনন্দ ও সৌন্দর্যে ভরা
শীত কাল । শীতের মোহনীয়
নৈসর্গিক রূপ ধরা পড়ে শিশির সিক্ত দুর্বা ঘাসের সকালে। কুয়াশার চাদরে ঘেরা শীত এক অপরূপ মহিমায়
ঘিরে রাখে সারা দেশ । মাঝে মাঝে
প্রদীপ্ত সূর্যও মুখ ঢাকে লজ্জায় অপমানে শীতের প্রবাহে। ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশির বিন্দু মিঠে রোদের আলোতে মুক্তোর মতো চক্ চক্ করতে থাকে। শীতের সকালে গ্রামে শুরু হয় পিঠে উৎসব । হীমশীতল সকালে
ভাপা-দুধপুলি-দুধে তৈরি পার্টি সাপটা পিঠা রসনায় নিয়ে আসে এক অপূর্ব তৃপ্তির
আস্বাদ। চাদর মুড়ি দিয়ে রোদে বসে পিঠে খাওয়া সে কী এক
অভূতপূর্ব দৃশ্য! আর আনন্দ তা
বাঙালি মাত্রই অনুভব করতে পারে। শীত কিছুটা বিলাসী ও আত্নভোলা ।
বড়লোকদের প্রতি তার একটু বেশি ভালোবাসা-দুর্বলতা। গৃহহীন-বন্ত্রহীন খেটে খাওয়া গরীব মানুষের প্রতি সে কিছুটা হৃদয়হীন
নিষ্ঠুর পক্ষপাতদুষ্ট। একটু প্রশান্তি, একটু উষ্ণতার ছোঁয়া পাওয়ার জন্য শীতের সকালে গরীব খেটে খাওয়া মানুষরা উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে হয় সূর্যের আলোর দিকে অথবা খড়-কুটো জ্বালিয়ে আগুনের উষ্ণতার ভরসায়। শীতাত মানুষ রাত্রি জাগে সকালের আশায়, সকাল জাগে সূর্যের স্পর্শ কামনায় । তবুও সুখ-দুঃখ-আনন্দ-বেদনা সবকিছু মিলিয়ে শীতের সকাল একটি আনন্দের অনুষঙ্গ-প্রিয়তম নৈসর্গিক অপূর্ব উপাদান
শীতের
সকাল
অজস্র
সুখ ভোগ আর আনন্দের ডালি
দিয়ে শীত নামক ঋতু বাংলাদেশে আসে। শীত আসে রূপ ও রসের ডালি
সাজিয়ে বাংলার গ্রাম-নগর-শহর-বন্দরে। প্রকৃতির অপরূপ নৈসর্গিক লীলায় আনন্দ ও সৌন্দর্যে ভরা
শীত কাল । শীতের মোহনীয়
নৈসর্গিক রূপ ধরা পড়ে শিশির সাত দূর্বা ঘাসের সকালে। কুয়াশার চাদরে ঘেরা শীত এক অপরূপ মহিমায়
ঘিরে রাখে সারা দেশ। মাঝে মাঝে প্রদীপ্ত সূর্য ও মুখ ঢাকে
লজ্জায় অপমানে শীতের প্রবাহে। ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশির বিন্দু মিঠে রোদের আলোতে মুক্তোর মত জ্বলজ্বলে চক্
চক্ করতে থাকে। শীতের সকালে গ্রামে শুরু হয় পিঠে উৎসব। হীমশীতল সকালে ভাপা-দুধপুলি-দুধতেই পার্টি সাপটা পিঠা রসনায় নিয়ে আসে এক অপূর্ব তৃপ্তির
আস্বাদ। চাদর মুড়ি দিয়ে রোদে বসে পিঠে খাওয়া সে কী! এক
অভূতপূর্ব দৃশ্য আর আনন্দ তা
বাঙালি মাত্রই অনুভব করতে পারে। শীত কিছুটা বিলাসী ও আত্মভোলা ।
বড়লোকদের প্রতি তার একটু বেশি ভালবাসা-দুর্বলতা। গৃহহীন-বস্ত্রহীন ঘেটে খাওয়া মা গরীব মানুষের
প্রতি সে কিছুটা হৃদয়হীন
নিষ্ঠুর পক্ষপাত, দুষ্ট । একটু প্রশান্তি,
একটু উষ্ণতার ছোঁয়া পাওয়ার জন্য শীতের সকালে গরীব খেটে খাওয়া মানুষদের উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে হয় সূর্যের আলোর দিকে অথবা খড় কুটো জ্বালিয়ে আগুনের উষ্ণতার ভরসায়। শীতার্থ মানুষ রাত্রি জাগে সকালের আশায়, সকাল জাগে সূর্যের স্পর্শ কামনায়। তবুও সুখ-দুঃখ আনন্দ-বেদনা সবকিছু মিলিয়ে শীতের সকাল একটি আনন্দের অনুষঙ্গ-প্রিয়তম নৈসর্গিক অপূর্ব উপাদান।
শীতের
সকাল
বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। ছয় ঋতুর মধ্যে শীত একটি অন্যতম ঋতু। হেমন্তের পরেই আসে শীতকাল। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসারে পৌষ ও মাঘ— এই দুইমাস শীতকাল। শীতকাল সাধারণত শুষ্ক থাকে। রাত হয় দীর্ঘ এবং দিন হয় ছোটো। তাই দীর্ঘ রাতের পর অপেক্ষা করতে হয় শীতের সকালের। কুয়াশার আস্তর ভেদ করে সকালের সূর্য উঁকি দেয় বেশ দেরিতে। কোনো কোনো দিন তার দেখাই পাওয়া যায় না। শীতের সকালে মিষ্টি রোদে বসে খেজুরের রস খাওয়ার মজাটাই আলাদা। ঘরে ঘরে তৈরি হয় ভাপা পিঠা। গ্রামে শীতের সকাল শুরু হয় একটু ভিন্ন আমেজে। মানুষের মাঝে দেখা যায় কিঞ্চিৎ কর্ম-বিমুখতা। খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে অনেকেই আগুন পোহাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। গরম কাপড় গায়ে মানুষ ঘুরে বেড়ায়। শীতের সকাল গরিবদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর। পর্যাপ্ত গরম কাপড় না থাকায় তারা শীতকষ্টে ভোগে। শহরে শীতের সকালে ব্যালকনিতে বসে অনেককে রোদ পোহাতে দেখা যায়। কেউবা গরম চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে খবরের কাগজ পড়ে। একটু পরেই সবাই নানারকম কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অনেকেই দূরে কোথাও বেড়ানোর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। আবার দল বেঁধে অনেকেই বনভোজনে বের হয়। শীতের সকালে আলস্য থাকলেও তা উপভোগ করার মতো বিষয়। শীতের সকাল সত্যিই অনাবিল সৌন্দর্যের এক পরম উৎস।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ শীতের সকাল অনুচ্ছেদ রচনা
শিক্ষার্থীরা আজকে আমরা জানলাম শীতের সকাল অনুচ্ছেদ সম্পর্কে । যদি আজকের এই শীতের সকাল অনুচ্ছেদ টি ভালো লাগে তাহলে এখনি ফেসবুকে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন আর এই রকমই নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ । Search-Asked BD
Post a Comment