এই বাংলাদেশের উৎসব অনুচ্ছেদ রচনা টি যেকোন ক্লাসের জন্য। যারা ক্লাস ৭ম শ্রেনীতে আছে তাদের জন্যও এই বাংলাদেশের উৎসব রচনা টি। আবার ক্লাস দশম শ্রেনীতে আছো তাদের জন্য এই বাংলাদেশের উৎসব অনুচ্ছেদ রচনা । অর্থাৎ ক্লাস ৭ম শ্রেনী থেকে ১০ম দশম শ্রেনী পর্যন্ত সবার প্রযোজ্য এই বাংলাদেশের উৎসব অনুচ্ছেদ রচনা । অনুচ্ছেদ রচনাটি পড়ার আগে তোমরা রচনা লেখার নিয়ম ও সুচিপত্রটি দেখা নাও
বাংলাদেশের উৎসব
বাংলাদেশের সামাজিক উৎসব ( ঢা. বো. ২০০৮; রা. বো. ২০১৬;
চট্ট, বো. ২০১৭)
ভূমিকা : উৎসব মানবজীবনে প্রাণচঞ্চল আনন্দময়তার অভিব্যক্তি। কেবল অন্ন-বস্ত্র সংস্থানেই মানবজীবনে সার্থকতা
আসে না, তার জীবনে চাই অবাধ মুক্তির আনন্দ। সে আনন্দ লাভের একটি উপায় উৎসব ও মানব সম্মিলন।
উৎসবের তাৎপর্য : দৈনন্দিন জীবন-সংগ্রামে অবসিত মানুষের প্রাণশক্তি যখন শুকিয়ে আসে, যখন অসহনীয় হয়ে ওঠে ‘জীবনের খণ্ড খণ্ড করি দণ্ডে দণ্ডে ক্ষয়’ তখন উৎসবের আয়োজন মনে আনে ফূর্তি, আনে মুক্ত জীবনের আনন্দ, সৃষ্টি করে নতুন কর্মপ্রেরণা। পারিবারিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসবে মানুষে মানুষে হয় আত্মিক মিলন। মানুষের জীবনে ব্যক্তিগত ক্ষুদ্রতা, গ্লানি, দীনতা ও তুচ্ছতা ছাপিয়ে ওঠে উদার প্রাণের ঐশ্বর্য। উৎসবের মধ্য নিয়ে ফুটে ওঠে জাতীয় সংস্কৃতির বৃহত্তর ও ব্যাপক রূপ ।
উৎসবের রূপ-রূপান্তর : আদিম আরণ্যক জীবন থেকেই মানুষ উৎসবপ্রবণ। তখন যৌথ উদ্যোগে পশু শিকার শেষে সম্মিলিতভাবে সান্ধ্য উৎসব হতো আগুন জ্বেলে, নেচে গেয়ে ভোজে মিলিত হয়ে। সভ্যতার রূপ-রূপান্তরের সঙ্গে সঙ্গে উৎসবেরও ঘটেছে নানা রূপান্তর, স্থান ও কালের পটভূমিতে এসেছে নানা বৈচিত্র্য ।
নানা ধরনের উৎসব : প্রকৃতি, পরিবেশ, ধর্ম ও জীবনধারার বৈচিত্র্যের প্রেক্ষাপটে উৎসবেও দেখা যায় নানা বৈচিত্র্য প্রচলিত উৎসবগুলোকে মোটামুটি পাঁচটি ভাগে ভাগ করা যায় : ১. ধর্মীয় উৎসব, ২. পারিবারিক উৎসব, ৩. ঋত উৎসব, ৪. জাতীয় উৎসব, ৫. আন্তর্জাতিক উৎসব। ইদ, দুর্গা পুজো, বড়দিন, বুদ্ধপুর্ণিমা ইত্যাদি ধর্মীয় উৎসব জন্মদিন, বিয়ে ইত্যাদি পারিবারিক উৎসব। বর্ষবরণ, বসন্তোৎসব ইত্যাদি ঋতু উৎসব। শহিদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ইত্যাদি জাতীয় উৎসব। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, অলিম্পিক, বিশ্ব যুব উৎসব ইত্যাদি আন্তর্জাতিক
উৎসব।উৎসবের উপযোগিতা : উৎসব কেবল মানব সম্মিলনের আনন্দ দেয় না, প্রাণের স্ফুরণ ঘটিয়ে শারীরিক ও মানসিক শক্তিকে সতেজ রাখে, দেয় নব নব কর্মপ্রেরণা। উৎসবকে কেন্দ্র করে মানুষের সৃজনশীলতারও নানা প্রকাশ ঘটে। রচিত হয় সংগীত, নৃত্য, চিত্রকলা, স্থাপত্য, ভাস্কর্য, চলচ্চিত্রের কত না সম্ভার। উৎসবের অর্থনৈতিক উপযোগিতাওnকম নয়। উৎসবকে কেন্দ্র করে যে ব্যাপক অর্থনৈতিক তৎপরতা চলে তাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অনেক পেশার মানুষ উপকৃত হয়।
উপসংহার : উৎসব মানুষে মানুষে প্রীতির বন্ধনকে দৃঢ় করে, হৃদয়কে করে প্রসারিত। উৎসব সঞ্চারিত করে অপার
আনন্দ, দেয় নবতর চেতনা। জাতীয় উৎসব জাতীয় চেতনাকে করে সংহত। আন্তর্জাতিক উৎসব প্রশস্ত করে শান্তি,
মৈত্রী ও সৌহার্দ্যের পথ। উৎসব মানুষের চৈতন্যে বিস্তার ঘটায় সুরুচি ও শিল্পবোধের। মানুষের জীবনের ক্লান্তি,
হতাশা, নৈরাজ্য, অস্থিরতা ও দুঃখ ঘোচাতে উৎসবের উপযোগিতা অসামান্য।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাংলাদেশের উৎসব রচনা
শিক্ষার্থীরা আজকে আমরা জানলাম বাংলাদেশের উৎসব রচনা সম্পর্কে । যদি আজকের এই বাংলাদেশের উৎসব রচনা টি ভালো লাগে তাহলে এখনি ফেসবুকে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন আর এই রকমই নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ । Search-Asked BD
Post a Comment