কৃষি বিজ্ঞান হলো একটি বিজ্ঞান যা উদ্ভাবনী এবং প্রগতিশীল কৃষি পদ্ধতির উন্নয়নে এবং ফসল উৎপাদনে গভীর বিজ্ঞানগত তত্ত্ব ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এটি বিভিন্ন জন্য উপযুক্ত উদ্ভাবনী ও প্রযুক্তিগুলি ব্যবহার করে কৃষি উন্নয়ন এবং প্রগতি সাধারণত সহায়তা করে।
কৃষি বিজ্ঞান একটি অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন বিজ্ঞানের যেমন জৈববৈজ্ঞানিক, পরিবেশগত, খনিজগত এবং ইঞ্জিনিয়ারিং মূলক জ্ঞান এবং প্রযুক্তিগুলি, যারা ফসল উৎপাদনের উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয়। এটি সাধারণত ফসল উদ্ভিদের জীবনচক্র, মাটি পরিচর্যা, জন্তুপাখী ও পরিবেশের প্রভাব, সম্প্রসারণ, রোগ ও বালাই নির্মাণ, ফসল পরিচর্যা, ও ফসল সংরক্ষণ সম্পর্কিত বিষয়ে গভীর বিজ্ঞানগত ধারণা দেয়।
কৃষি কাজে বিজ্ঞান
ভূমিকা:বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। সর্বক্ষেত্রে বিজ্ঞানের কল্যাণ-স্পর্শ জীবনকে করেছে সহজ ও আনন্দময়। বিজ্ঞানের ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে জীবন আরও আরামদায়ক দেখাচ্ছে। বিজ্ঞানের কর্মসূচী যত প্রসারিত হয়, জীবন তত উন্নত হয়। কল্যাণে বিজ্ঞানের বিরাট অবদানকে সামনে রেখে একে আরও উপযোগী করার নিরন্তর প্রচেষ্টা চলছে। ফলে আজ কৃষিতে বিজ্ঞানের ব্যবহার শুরু হয়েছে এবং বিজ্ঞানের ছোঁয়ায় কৃষিতে সবুজ বিপ্লব শুরু হয়েছে।
বিজ্ঞান ও কৃষিতে অগ্রগতি :বিংশ শতাব্দীর সন্ধিক্ষণে পৃথিবীর মানুষের কোনো কাজেই বিজ্ঞানের অভাব নেই। বিজ্ঞানের জয় আজ সর্বত্র অব্যাহত রয়েছে। বিজ্ঞানের জন্য ধন্যবাদ, অনন্য নিদর্শনগুলি আজ আলোয় জ্বলজ্বল করছে। বিজ্ঞানের জন্য ধন্যবাদ, আজ উসার মরুভূমি সরস এবং উর্বর হয়ে উঠেছে, দুর্গম পাহাড়ের ঢালগুলি দিগন্তকে প্রশস্ত করে সমভূমিতে পরিণত হয়েছে, নদী একটি নতুন গতি পেয়েছে, শুকনো মাঠে জল প্রবাহিত হচ্ছে। বিজ্ঞান পৃথিবীর প্রতিটি স্তরে এবং জীবনের কর্মকাণ্ডে বিস্তৃত। আজ বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে উন্নত প্রযুক্তি এবং নতুন প্রজাতির ফসলের বিকাশের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। কৃষি এখন আর প্রকৃতি নির্ভর নয়। এক সময়ে, বিশ্ব এক বিলিয়ন মানুষকে খাওয়াতে পারত না, এবং বর্তমানে, ছয় বিলিয়ন মানুষের জন্য উদ্বৃত্ত খাদ্য তৈরি করা হচ্ছে। আর তা সম্ভব হয়েছে বিজ্ঞানের কারণে।
কৃষির গুরুত্ব :মানুষ এই পৃথিবীতে তার জীবন শুরু করেছিল কৃষি দিয়ে এবং এখনও মানুষের জীবন প্রবাহ কৃষির উপর নির্ভর করে। জনগণের চাহিদা বিবেচনা করে কৃষিক্ষেত্রে ক্রমাগত গবেষণা চলছে এবং এর ফলে উন্নত দেশগুলো তাদের কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। উন্নত দেশগুলো একদিকে যেমন ফলন বাড়িয়ে নিজেদের অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিচ্ছে, তেমনি অভাবী দেশগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ করে মানবজাতিকে দুর্যোগ থেকে রক্ষা করছে।
কৃষিতে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি :কৃষিতে বিজ্ঞানের সর্বশেষ অগ্রগতি হ'ল জিন প্রযুক্তির প্রয়োগ। জেনেটিক যুগ উচ্চ ফলনশীল জাত এবং বীজ বিকাশ, বিপন্ন ফসল এবং গাছপালা টিকিয়ে রাখতে ব্যবহৃত হয়। শুধু তাই নয়, দূষিত এলাকায় কৃত্রিম বৃষ্টিপাতেরও চেষ্টা চলছে। বিজ্ঞানের সহায়তায় যে জমিতে আগে এক ফসল হতো সেখানে তিনটি ফসল ফলানো হচ্ছে। প্রকৃতির উপর নির্ভর করতে হবে না।
বাংলাদেশের কৃষি ও বিজ্ঞান :বিস্ফোরিত জনসংখ্যার ভারে বাংলাদেশ ভুগছে। জনসংখ্যার চাপ তীব্র খাদ্য সমস্যার সৃষ্টি করেছে। আমাদের দেশে প্রচলিত প্রাচীন চাষ পদ্ধতির কারণে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে সাম্পান উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে কৃষিকাজের প্রতিটি পর্যায়ে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা সম্ভব। শিল্পায়িত জাপানও একটি কৃষিপ্রধান দেশ। জাপানের মাটির স্বাভাবিক উৎপাদন আমাদের দেশের মাটির এক-চতুর্থাংশ। কিন্তু তারা কৃষিতে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের চেয়ে ছয়গুণ বেশি ফসল উৎপাদন করে। জাপানের মতো আমরাও আমাদের জমিতে সর্বোচ্চ ফসল উৎপাদনের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে খাদ্য সমস্যার সমাধান করতে পারি। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন, চীন, কোরিয়া ইত্যাদি দেশের কৃষি বিজ্ঞানের কৌশলও প্রয়োগ করতে পারি। আমাদের কৃষক সম্প্রদায় জমি চাষের জন্য গবাদি পশু দ্বারা চালিত ঐতিহ্যবাহী লাঙল ব্যবহার করে। এই পদ্ধতিটি যেমন কঠিন তেমনি সময়সাপেক্ষ, তাই আমরা ট্রাক্টর ব্যবহার করে সহজেই বেশি জমি চাষ করতে পারি। কৃষির মান অনুযায়ী রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন বাড়ানো যায়।
ঐতিহ্যগত কৃষি পদ্ধতি : কৃষি মানুষের অস্তিত্বের সাথে সরাসরি জড়িত। বেঁচে থাকার জন্য কৃষির গুরুত্ব আদিম সমাজ থেকে আজ পর্যন্ত অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রয়োজনীয়তা যেমন উদ্ভাবনকে অনুপ্রাণিত করে, তেমনি আদিম সমাজ বেঁচে থাকার জন্য কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি করেছিল। যার মাধ্যমে তারা চাষাবাদ করত। প্রাথমিক অবস্থায় গরু, ঘোড়া, মহিষ ইত্যাদি পশুর সাহায্যে জমি চাষ করা হতো। আবহাওয়া-নির্ভর কৃষি ব্যবস্থার কারণে ঘন ঘন খরা ও অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে ফসলের ক্ষতি ও দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। একই জমিতে ক্রমাগত একই ফসল উৎপাদন করলে জমির উর্বরতা কমে যেত। ভালো ও উন্নত বীজের গুণমান নিশ্চিত করা যায়নি, যার কারণে ফসল উৎপাদন ভালো হবে না। একমাত্র বৃষ্টির উপর নির্ভরশীলতার কারণে কৃষকের ফসল ফলানো ভাগ্যের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। ঐতিহ্যগত পদ্ধতিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা বেঁচে থাকার জন্য মাঠ ফসলের উপর নির্ভরশীল। যার মাধ্যমে কৃষক ও কৃষির প্রাচীন ব্যবস্থায় হতাশার চিত্র সহজেই অনুমেয়।
বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থা :বাংলাদেশ একটি
কৃষিপ্রধান দেশ। এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জমি এবং আবহাওয়া আমেরিকার অন্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় কৃষির জন্য অতিরিক্ত উপযোগী। এখানে সব ধরনের ফসল
ফলানো যায়। যাইহোক, যেখানে উন্নত
আন্তর্জাতিক অবস্থানগুলি প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকারক আবহাওয়া সত্ত্বেও ফসল উৎপাদনে
পরিপূর্ণতা প্রদর্শন করেছে, বাংলাদেশের
কৃষকরা বৃষ্টির জলের জন্য বলদ-জোয়াল খুঁজছেন। আমাদের আমাদের মধ্যে কৃষিকে
সর্বনিম্ন পেশা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই কারণে জ্ঞানী মানুষ একবারে এই পেশার
সাথে যুক্ত হয় না। এবং অশিক্ষিত কৃষকরা যেমন এখন চাষের চিকিৎসা পদ্ধতিগুলিকে
চিনতে পারে না, উপরন্তু তারা
বর্তমান সময়ের ক্লিনিকাল সরঞ্জামগুলির ব্যবহারকেও চিনতে পারে না। জনসংখ্যা
বৃদ্ধির কারণে কৃষি জমি সংকুচিত হচ্ছে এবং পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে বিশেষজ্ঞ কৃষকরা
হারিয়ে যাচ্ছে। যদিও বর্তমানে বাংলাদেশে কৃষি নিয়ে গবেষণা চলছে, তবুও ৮০ শতাংশ কৃষক সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ
করছেন। পুঁজি, শিক্ষা এবং চেতনা
হারানোর কারণে, বাংলার কৃষকরা
তাদের কঠিন চিত্রকর্ম নির্বিশেষে পছন্দের ফসল পাচ্ছে না। আর এর জন্য সবচেয়ে সহজ
উদ্দেশ্য হল কৃষির চিকিৎসা পদ্ধতিতে অনগ্রসরতা।
বাংলাদেশে বিজ্ঞানভিত্তিক সম্পূর্ণ কৃষি ব্যবস্থা চাই :সীমিত সম্পদের সাথে সীমাহীন চাহিদা মেটানোর জন্য ট্রেন্ডি প্রযুক্তিগত জ্ঞান-প্রাথমিকভাবে ভিত্তিক কৃষি কাঠামোর কোন বিকল্প নেই। সনাতন কৌশলে আমাদের এই ক্ষুদ্র আবাদি জমিতে প্রায় ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য যোগান দেওয়া সম্ভব নয়। তাই কাঠের লাঙলের বিদায়। ট্রাক্টর এবং বিভিন্ন মেশিনের মতো ক্লিনিকাল সরঞ্জাম কৃষকদের দিতে হবে।
বাংলাদেশ প্রযুক্তিগত জ্ঞান-ভিত্তিক সম্পূর্ণ কৃষি গবেষণায় :গবেষণা প্রচুর নগদ জন্য কল. আপনি গরীব হন না কেন। এস., বাংলাদেশে কৃষি নিয়ে গবেষণা চলছে। উদাহরণস্বরূপ, BRRI (বাংলাদেশ রাইস স্টাডিজ ইনস্টিটিউট), ধানের প্রকারের উপর গবেষণা পরিচালনা করে। বিনা (বাংলাদেশ নিউক্লিয়ার এগ্রিকালচার ইনস্টিটিউট) সব প্রতিষ্ঠানই কৃষির উন্নয়নের জন্য বড় ধরনের গবেষণা চালাচ্ছে। বেশ কয়েকটি মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও, ব্যক্তিগত মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে কৃষি পড়াশুনা শেষ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের সহায়তায় পাটের জীবনধারার রহস্য উদ্ভাবন, মহিষের অস্তিত্ব থ্রিলার উদ্ভাবন বাংলাদেশের কৃষি গবেষণার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক।
কৃষিতে প্রযুক্তির বিপজ্জনক ফলাফল : প্রযুক্তিগত জ্ঞানের চরম উৎকর্ষের সাথে, বৈজ্ঞানিক চাষের মাধ্যমে কৃষিতে কিছু ক্ষতির সমাপ্তি ঘটছে। অতএব, প্রযুক্তি-প্রাথমিকভাবে ভিত্তিক কৃষি ব্যবস্থা থেকে পিছু হটতে পারে না, তবে বিপজ্জনক বিষয়গুলিকে সর্বাধিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রতিরোধ করতে হবে। যেমন: রাসায়নিক সারের অত্যধিক ব্যবহার কৃষি জমির প্রাকৃতিক উর্বরতা হ্রাস করছে যা ভাগ্যের জন্য বিপজ্জনক। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে এবং পানিতে নেমে মৎস্য সম্পদেরও ক্ষতি হচ্ছে। গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশগুলিতে কৃত্রিম অন্দর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সবুজ শাকসবজির বিকাশ গ্রীনহাউসের প্রভাবের কারণে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করছে। এই সমস্যাগুলি প্রাকৃতিক দুর্যোগে রূপ নিচ্ছে, যা প্রান্তিক কৃষকদের প্রভাবিত করতে পারে। তাই চমৎকার ব্যবহার আপনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারে।
কৃষি উন্নয়নে বাংলাদেশ : কৃষি মানুষের সমস্ত সহজ ইচ্ছা পূরণ করে। তাই কৃষিকে অবহেলা করে থাকা যেমন সঠিক নয়, তেমনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাজ্যের সাধারণ কল্যাণ লাভ করাও সম্ভব নয়। তাই কৃষির মানোন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষি বিষয়ের অভ্যন্তরে আধুনিক যুগের সরবরাহ সম্পর্কে সচেতন কর্তৃপক্ষ। এই ইউনিভার্সিটি, কৃষি বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে। এস. ক. কৃষি ব্যবস্থার সার্বিক কল্যাণের জন্য। মাধ্যমিক কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠ্যসূচির মধ্যে কৃষিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষিক্ষেত্রে কৃষকদের মনোযোগ বাড়াতে এবং আধুনিক যুগের প্রয়োগে উৎসাহিত করতে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করে আসছে। সরকার অতিরিক্ত ফলনশীল বীজ প্রদান করছে।
উপসংহার : বাংলাদেশ আমেরিকার একটি কৃষিভিত্তিক ইউনাইটেড স্টেট। এই ইউ এর গ্রামীণ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এস. এ.. প্রকৃতপক্ষে আমাদের দেশব্যাপী উন্নতি অবশ্যই কৃষির উপর নির্ভরশীল। এবং প্রযুক্তি এবং প্রজন্মের মাধ্যমে আমরা কৃষিতে বিপ্লব ঘটাতে পারি এবং পরস্পর নির্ভরতার অভিশাপ থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারি। মানব কল্যাণে প্রযুক্তি ব্যবহারের একটি চমৎকার উদাহরণ হল কৃষি। ছেলের কল্পনাপ্রসূত বিদ্যুৎ আজকাল কৃষিকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। কৃষিকে তার আদিম আকারে বলা হয় ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ কৃষিকাজে বিজ্ঞান রচনা
শিক্ষার্থীরা আজকে আমরা জানলাম কৃষিকাজে বিজ্ঞান রচনা সম্পর্কে । যদি আজকের এই কৃষিকাজে বিজ্ঞান রচনা টি ভালো লাগে তাহলে এখনি ফেসবুকে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন আর এই রকমই নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ । Search-Asked BD
Post a Comment