এই বইমেলা অনুচ্ছেদ রচনা টি যেকোন ক্লাসের জন্য। যারা ক্লাস ৭ম শ্রেনীতে আছে তাদের জন্যও এই বইমেলা  রচনা টি। আবার ক্লাস দশম শ্রেনীতে আছো তাদের জন্য এই বইমেলা অনুচ্ছেদ রচনা । অর্থাৎ ক্লাস ৭ম শ্রেনী থেকে ১০ম দশম শ্রেনী পর্যন্ত সবার প্রযোজ্য এই বইমেলা অনুচ্ছেদ রচনা । অনুচ্ছেদ রচনাটি পড়ার আগে তোমরা রচনা লেখার নিয়ম ও সুচিপত্রটি দেখা নাও


একুশে বইমেলা

একুশে বইমেলা, যা অমর একুশে বই মেলা নামেও পরিচিত, বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এটি প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়, 1952 সালের ভাষা আন্দোলনের স্মরণে যখন বাংলাভাষী মানুষ উর্দুকে একমাত্র সরকারী ভাষা হিসাবে চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। এই প্রতিবাদই শেষ পর্যন্ত বাংলাকে বাংলাদেশের সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

একুশে বইমেলা ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয় এবং ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে বিস্তৃত হয়, 21শে ফেব্রুয়ারি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন, যা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নামেও পরিচিত। এই মেলা বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উদযাপন।

সারা দেশ থেকে প্রকাশক, লেখক এবং বইপ্রেমীরা মেলায় জড়ো হয় বইয়ের বিস্তৃত পরিসর প্রদর্শন ও অন্বেষণ করতে। মেলায় পাঠকদের বিস্তৃত বর্ণালীকে সরবরাহ করে উপন্যাস, কবিতা, একাডেমিক পাঠ্য এবং আরও অনেক কিছু সহ বইয়ের একটি বৈচিত্র্যময় সংগ্রহ রয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠিত এবং উদীয়মান লেখকদের জন্য তাদের পাঠকদের সাথে যোগাযোগ করার, বইতে স্বাক্ষর করার এবং তাদের কাজ নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে।

একুশে বইমেলা শুধু বই নিয়ে নয়; এটি একটি প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক উৎসব। দর্শকরা সঙ্গীত, নৃত্য এবং থিয়েটার পারফরম্যান্স সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারে, সেইসাথে সাহিত্য বিষয়ের উপর আলোচনা এবং সেমিনার। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাহিত্য ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে এবং তরুণদের মধ্যে পাঠের প্রতি অনুরাগকে উৎসাহিত করতেও এই মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পরিশেষে বলা যায়, একুশে বইমেলা সাংস্কৃতিক গৌরবের প্রতীক এবং বাংলাদেশের ভাষা ও সাহিত্যের গুরুত্বের প্রমাণ। এটি তাদের ভাষা, ঐতিহ্য এবং বইয়ের জগতকে উদযাপন করতে সকল স্তরের লোকেদের একত্রিত করে।

For class - 6

একুশে বইমেলা

বই মানুষের অন্যতম প্রাণসত্তা। বই মানুষকে দেয় পূর্ণতা, জীবনকে করে সমৃদ্ধ । মানুষের মধ্যে বই সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি, বই পড়ার ব্যাপক প্রসার এবং মানুষের মননশীলতা বৃদ্ধিতে বইমেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম বইমেলা অনুষ্টিত হয় ১৮০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে। এরপর ১৯৪৯ সালে শুরু হয় জার্মানির ফ্রাংকফুটের বৃহৎ বইমেলা। সেখান থেকেই আধুনিক বইমেলার যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশেই আন্তর্জাতিক মানের বইমেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও প্রতিবছর আয়োজন করা হয় ‘একুশে বইমেলা' নামে বৃহৎ বইমেলা। ১৯৮৫ সাল থেকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে মাসজুড়ে এ মেলা চলে। একুশে বইমেলা এখন বাঙালির প্রাণের মেলায় পরিণত হয়েছে। কবি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিকসহ হাজার হাজার বইপ্রেমিক মানুষের অংশগ্রহণে বইমেলা পরিণত হয় এক বিচিত্র উৎসবে। সর্বসাধারণকে পাঠমুখী করা এবং মননশীল জাতি গঠনের ক্ষেত্রে বইমেলার গুরুত্ব অপরিসীম।


For class - 7


একুশে বইমেলা

জীবনকে আলোকিত করার প্রধান মাধ্যম হচ্ছে বই। মানব জীবনকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি পূর্ণতা প্রদান করে বই। প্রতি বছর হাজার হাজার বই বের হয় বইপ্রেমীদের জন্য। বিভিন্ন বয়সের পাঠকদের জন্য লেখকরা রচনা করেন বিভিন্ন রকমের বই। আর এসব বই সবার কাছে উন্মোচন করার জন্য আয়োজন করা হয় বইমেলার। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে ম্যাথু কেরির উদ্যোগে ১৮০২ সালে প্রথম বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ১৮৭৫ সালে একশ প্রকাশক মিলে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ক্লিনটন শহরে প্রায় ৩০ হাজার বই নিয়ে একটি মেলার আয়োজন করেন। ১৯৪৯ সাল থেকে জার্মানিতে শুরু হয় বিশ্বের বৃহত্তম বইমেলা। আমাদের দেশে বইমেলার ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয় । ১৯৭২ সালে মুক্তধারা প্রকাশনীর প্রধান চিত্তরঞ্জন সাহা বইমেলার আয়োজন করেন। ১৯৭৮ সাল থেকে বাংলা একাডেমি পূর্ণাঙ্গ বইমেলার আয়োজন করে এবং ১৯৮৫ সাল থেকে এটি 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা' নামে পরিচিতি পায়। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগীয় শহর ছাড়াও জেলা শহরে বইমেলা আয়োজিত হয়ে থাকে। বড়োদের পাশাপাশি শিশু-কিশোররাও বেশ কৌতূহল নিয়ে মেলায় আসে এবং নানারকম বই কেনে। বইমেলা আমাদের প্রাণের উৎসব। জ্ঞানকে সীমাবদ্ধ না রেখে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম মাধ্যম হলো বইমেলা । আর এ মেলার মাধ্যমেই ব্যক্তি তার পছন্দসই বই কিনে পাঠের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। তাই বর্তমানে বইমেলা সর্বজনীন অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।


For class - 8

বই মেলা / পুস্তক প্রদর্শনী

বই মেলার শাব্দিক অর্থ হলো বইমেলে ধরা বা বই মেলানো । কিন্তু বই মেলা বলতে বইপত্রের সমাবেশকে বোঝানো হয়ে থাকে । বিভিন্ন পুস্তক প্রকাশকদের অংশগ্রহণে যে পুস্তক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, তাকে বলে বই মেলা । বই মেলা লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের মধ্যে একটা নিবিড় যোগসূত্র স্থাপন করে । প্রদর্শনী অঙ্গনে সৃষ্টি হয় একটি আনন্দ-উৎসব। বিচিত্র বিষয়ক বইপত্রের সাথে দর্শকদের পরিচয় হয় এবং এরই মধ্যেদিয়ে সৃষ্টি হয় নতুন পাঠক। বইমেলার ইতিহাস বেশ পুরাতন, কিন্তু আমাদের দেশে নতুন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৮০২ সালে বইমেলার সূচনা হয়। এরপর ১৯৪৯ সালে জার্মানিতে পুস্তক প্রদর্শনীর আয়োজনের তথ্য পাওয়া যায়। বাংলাদেশে প্রথম বইমেলার সূচনা ১৯৬৭ সালে । যশোর ইনিন্সিটিউট পাবলিক লাইব্রেরিতে এই আয়োজন করা হয়। ১৯৭২ সালে মুক্তধারা প্রকাশনীর উদ্যেগে ঢাকাতে বই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭৮ সাল থেকে বাংলা একাডেমি পূর্ণাঙ্গ বইমেলার আয়োজন করে থাকে। ১৯৮৫ সালে এই বই মেলার নাম দেয়া হয় একুশে বই মেলা। ১৯৯৫ সাল থেকে জাতীয় কেন্দ্র বাংলাদেশ ‘ঢাকা বই মেলা'র ব্যবস্থা করে আসছে ৷ এ ছাড়া শহীদ দিবস, বিজয় দিবস, বাংলা নববর্ষ, ঈদে-মিলাদুন্নবী প্রভৃতি উৎসব উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুস্তক প্রদর্শনী প্রচলন রয়েছে। এটা একদিকে যেমন আনন্দ-উৎসব, অপরদিকে লেখক প্রকাশক ও পাঠকদের প্রকাশনা ও পাঠস্পৃহা সৃষ্টিতে বই মেলা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ করে।

For class - 9,10


একুশে বইমেলা

বা 

অমর একুশে গ্রন্থমেলা


আমাদের জীবনে একুশে ফেব্রুয়ারি তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। এ দিনের ইতিহাস আমাদের সংগ্রামী চেতনার ইতিহাস। এ সংগ্রামী চেতনাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করা হয় । এর মধ্যে অন্যতম আয়োজন হলো 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা'। একুশে ফেব্রুয়ারিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বাংলা একাডেমি প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে একুশে বইমেলার আয়োজন করে থাকে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে এই বইমেলা চলে। বইমেলা উপলক্ষ্যে বই বিক্রেতা ও প্রকাশকরা নানা সাজে বইয়ের স্টল বা দোকান সাজিয়ে বসেন। এখানে বিভিন্ন ধরনের বইয়ের সমাহার ঘটে। বইমেলা উপলক্ষ্যে প্রচুর নতুন বই মেলায় আসে। পুরোনো লেখকদের পাশাপাশি নতুন লেখকদের বইও পাওয়া যায় এই মেলায়। প্রতিদিন বইয়ের আকর্ষণে বইপ্রেমিক মানুষেরা মেলা প্রাঙ্গণে ছুটে আসেন। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি লেখক, ভাষাবিদ ও বরেণ্য সব ব্যক্তিত্ব বইমেলায় আসেন। লেখক ও পাঠকদের আনন্দঘন এক মিলনমেলা তৈরি হয় এ মেলায়। এটি বাংলা একাডেমির একটি মহৎ উদ্যোগ ও আয়োজন। বইমেলার ফলে পাঠকেরা এক জায়গা থেকেই তাদের পছন্দের বইগুলো কিনতে পারেন । এছাড়া বই কেনার প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহও তৈরি হয় । এ কারণে এই ধরনের বইমেলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। একুশে বইমেলা আমাদের মধ্যে সাহিত্য-সংস্কৃতিবোধ জাগ্রত করে। এ বইমেলা এখন আমাদের জাতীয় চেতনার সাথে সম্পৃক্ত। ঢাকার বাইরে প্রতিবছর বইমেলার আয়োজন করে বইমেলা ও বইয়ের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি করা যেতে পারে ।


আর্টিকেলের শেষকথাঃ বইমেলা অনুচ্ছেদ রচনা

শিক্ষার্থীরা  আজকে আমরা জানলাম বইমেলা অনুচ্ছেদ রচনা সম্পর্কে  । যদি আজকের এই বইমেলা অনুচ্ছেদ রচনা টি ভালো লাগে তাহলে এখনি ফেসবুকে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন আর এই রকমই নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ । Search-Asked BD

একুশে বইমেলা অনুচ্ছেদ,অমর একুশে বইমেলা ২০২৩,একুশে বইমেলা,অনুচ্ছেদ একুশে বইমেলা,অমর একুশে বইমেলা,একুশে বইমেলা ২০২৩,একুশে বইমেলা কোথায় অনুষ্ঠিত হয়,একুশে বইমেলা অনুচ্ছেদ রচনা,একুশে বইমেলা রচনা,অমর একুশে বইমেলা অনুচ্ছেদ,একুশে বইমেলা ২০২৩ সময়সূচি,একুশে বইমেলার,একুশে বইমেলা অনুচ্ছেদ class 7,অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ কোথায়,একুশে বইমেলা সম্পর্কে প্রতিবেদন,অমর একুশে বইমেলা ২০২২,অমর একুশে বইমেলার ইতিহাস,অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ লোকেশন,একুশে বইমেলার ইতিহাস,একুশে বইমেলা ২০১৮,একুশে বইমেলা ২০১৭ নতুন বই,একুশে বইমেলা ২০১৬,একুশে বইমেলায় নতুন বই,অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ চট্টগ্রাম,একুশে বইমেলা ২০২৩ কোথায় অনুষ্ঠিত হয়,একুশে বইমেলা প্রতিবেদন,একুশে বইমেলা ২০১৯ উদ্বোধন,অমর একুশে বইমেলা ২০২১,চট্টগ্রাম একুশে বইমেলা,একুশে বইমেলা সম্পর্কে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন,অমর একুশে বইমেলা ২০১৭,একুশে বইমেলার আয়োজন,একুশে বইমেলা অনুচ্ছেদ class 6,বাংলা অনুচ্ছেদ একুশে বইমেলা,একুশে বইমেলা ২০১৮ সময়সূচী,অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ লোগো,একুশে বইমেলা ছবি,একুশে বইমেলা ২০১৭,একুশে বইমেলা ২০১৮ নতুন বই,একুশে বইমেলা ২০১৬ নতুন বই,অমর একুশে বইমেলা কত সাল থেকে শুরু হয়,অমর একুশে বইমেলা ২০১৮,অনুচ্ছেদ রচনা একুশে বইমেলা,একুশে বইমেলা কোথায় হয়,একুশে বইমেলা ২০২২,, class 9,ইসলামি বই,,দ,,

Post a Comment

Previous Post Next Post