বাংলাদেশ আয়তনে ছোট। কিন্তু এরপরও বিভিন্ন এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এ পার্থক্যের কারণেই উত্তর অঞ্চলের কাজকর্ম, খাবার, সামাজিক অনুষ্ঠান, রীতিনীতি ইত্যাদি দক্ষিণ অঞ্চলের চেয়ে কিছুটা আলাদা। ফলে কোনো এলাকায় গাছপালা বেশি থাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়, আবার কোনো এলাকায় গাছপালা কম থাকায় বৃষ্টিপাত কম হয়। আমাদের সমাজজীবন নানাভাবে প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। তাই প্রকৃতির ক্ষতি হয় এমন কাজ আমরা করব না। আমরা প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে যত্নবান হব ।
আমাদের পরিবেশ ও সমাজ
আরও কিছু করি
প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর জলবায়ুর প্রভাব আলোচনা কর।
উত্তর : প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর জলবায়ুর প্রভাব-
• জলবায়ুর প্রভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায়। যেমন-
১. কোনো অঞ্চল তুষারে ঢাকা।
২. কোনো অঞ্চল শুষ্ক মরুভূমি।
৩. কোথাও উষ্ণ ।
৪. কোথাও বৃষ্টির পরিমাণ বেশি।
• বিভিন্ন কারণে জলবায়ুর পরিবর্তনে গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় ও ভয়াবহ বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়, যা পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।
যাচাই করি
প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর সমাজের প্রভাব কমাতে আমরা কী করতে পারি?
উত্তর : প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর সমাজের প্রভাব কমাতে আমরা যা করতে পারি—
• সর্বপ্রথম আমাদের পরিবেশ নিয়ে সচেতন হতে হবে।
• বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। কেননা-
১. প্রচুর গাছপালা থাকলে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে এবং বৃষ্টিপাত হয়।
২. বৃষ্টি মাটির জন্য উপকারী।
৩. গাছ থেকে আমরা বাড়ি ও আসবারপত্র তৈরির কাঠ পাই ।
• নদী-নালা, খাল-বিল ভরাট না করে আরও খাল ও পুকুর খনন করতে হবে।
অল্প কথায় উত্তর দাও
প্রশ্ন ১। প্রাকৃতিক পরিবেশের তিনটি উপাদানের নাম লেখ।
উত্তর : প্রাকৃতিক পরিবেশের তিনটি উপাদান হলো-
১. মাটি,
২. পানি ও
৩. বাতাস।
প্রশ্ন ২। বাংলাদেশের কোন কোন অঞ্চলে বেশি বন্যা হয়?
উত্তর : বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ভূমি নিচু, সেখানে অনেক নদী মিলিত হয়েছে। নদীর কারণে দক্ষিণ অঞ্চলে বন্যা বেশি হয় ।
প্রশ্ন ৩। সামাজিক পরিবেশের তিনটি উপাদানের নাম লেখ।
উত্তর : সামাজিক পরিবেশের তিনটি উপাদান হলো-
১. বাড়ি,
২. বিদ্যালয় ও
৩. খেলার মাঠ ।
প্রশ্ন ৪। বেশি বেশি গাছ লাগানো প্রয়োজন কেন?
উত্তর : বেশি বেশি গাছ লাগানো প্রয়োজন । কারণ—
- গাছ থেকে আমরা জীবনধারণের জন্য অক্সিজেন পাই ।
- গাছপালা থাকলে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে এবং বৃষ্টিপাত হয় ।
- গাছ থেকে আমরা বাড়ি ও আসবাবপত্র তৈরির কাঠ পাই।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
প্রশ্ন ১। বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে বন্যার প্রবণতা বেশি?
উত্তর : বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বন্যার প্রবণতা বেশি।
প্রশ্ন ২। রিপনের এলাকার ভূমি উঁচু। নদ-নদীর সংখ্যা কম। গ্রীষ্মকালে রিপনের এলাকার তাপমাত্রা কেমন থাকে?
উত্তর : গ্রীষ্মকালে রিপনের এলাকার তাপমাত্রা বেশি থাকে।
প্রশ্ন ৩। বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে নদ-নদীর সংখ্যা বেশি?
উত্তর : বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে নদ-নদীর সংখ্যা বেশি।
প্রশ্ন ৪। গাছপালা থেকে আমরা কী পেয়ে থাকি?
উত্তর : গাছপালা থেকে আমরা বাড়ি ও আসবাবপত্র তৈরির কাঠ পেয়ে থাকি।
প্রশ্ন ৫। আমাদের সমাজ জীবন নানাভাবে কিসের ওপর নির্ভরশীল?
উত্তর : আমাদের সমাজ জীবন নানাভাবে প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন ৬। কোন এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়?
উত্তর : সাধারণত যে এলাকায় গাছপালা বেশি থাকে সেই এলাকায় প্রচুর
বৃষ্টিপাত হয়।
প্রশ্ন ৭। প্রাকৃতিক পরিবেশের দুটি উপাদানের নাম লেখ ।
উত্তর : প্রাকৃতিক পরিবেশের দুটি উপাদান হচ্ছে— মাটি ও গাছপালা।
প্রশ্ন ৮। প্রচুর গাছপালা থাকলে কী হয়?
উত্তর : প্রচুর গাছপালা থাকলে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে এবং বৃষ্টিপাত হয়।
প্রশ্ন ৯। সামাজিক পরিবেশ কাকে বলে?
উত্তর : মানুষের সৃষ্ট উপাদান নিয়ে যে পরিবেশ গঠিত হয় তাকে সামাজিক পরিবেশ বলে।
প্রশ্ন ১০। পরিবেশ নিয়ে কেন আমাদের সচেতন হতে হবে?
উত্তর : সামাজিক পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান প্রকৃতির ওপর প্রভাব ফেলে। তাই পরিবেশ নিয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে।
প্রশ্ন ১১। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ কেমন ?
উত্তর : পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে বৈচিত্র্য রয়েছে। কোনো অঞ্চল তুষারে ঢাকা। আবার কোনো অঞ্চল শুষ্ক মরুভূমি।
প্রশ্ন ১২। বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলের ভূমি কেমন?
উত্তর : বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলের ভূমি উঁচু এবং নদ-নদীর সংখ্যা কম।
প্রশ্ন ১৩। মনে কর, তুমি দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বাস কর। তুমি যেখানে বাস কর সেখানকার ভূমি কেমন?
উত্তর : আমি যে অঞ্চলে বাস করি সেখানকার ভূমি নিচু। সেখানে অনেক নদী মিলিত হয়েছে। নদীর কারণে এ অঞ্চলে বন্যার প্রবণতা বেশি।
প্রশ্ন ১৪। বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে বন্যার প্রবণতা বেশি?
উত্তর : বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে বন্যার প্রবণতা বেশি।
প্রশ্ন ১৫। বেশি বেশি গাছ লাগানো প্রয়োজন কেন?
উত্তর : বেশি বেশি গাছ লাগানো হলে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে এবং বৃষ্টিপাত হয় ।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নগুলোর
প্রশ্ন ১। প্রাকৃতিক পরিবেশ কী? আমরা প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে বৈচিত্র্য দেখি কেন? প্রাকৃতিক পরিবেশের চার ধরনের বৈচিত্র্যের উল্লেখ কর।
উত্তর : প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান নিয়ে গঠিত পরিবেশই প্রাকৃতিক পরিবেশ।
অঞ্চল বা অবস্থানগত ভিন্নতার কারণে আমরা প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে বৈচিত্র্য দেখি ।
প্রাকৃতিক পরিবেশের চার ধরনের বৈচিত্র্য হলো-
- পৃথিবীর কোনো অঞ্চল তুষারে ঢাকা ।
- পৃথিবীর কোনো অঞ্চল শুষ্ক মরুভূমি।
- কোথাও শীতল জলবায়ু ।
- কোথাও শুষ্ক জলবায়ু।
প্রশ্ন ২। আমাদের দেশের কোন অঞ্চলের ভূমি নিচু? উক্ত অঞ্চলে বন্যার প্রবণতা বেশি কেন? আমাদের দেশের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর : আমাদের দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ভূমি নিচু । এ অঞ্চলে নদীর কারণে বন্যার প্রবণতা বেশি ৷
আমাদের দেশের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো—
- আমাদের দেশের উত্তর অঞ্চলের ভূমি উঁচু ।
- উত্তর অঞ্চলে নদ-নদীর সংখ্যা কম।
- উত্তর অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে অনেক অনেক গরম পড়ে এবং শীতকালে অনেক ঠান্ডা পড়ে।
- দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ভূমি নিচু।
প্রশ্ন ৩। পরিবেশ বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও । প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সামাজিক পরিবেশের দুটি পার্থক্য বর্ণনা কর ।
উত্তর : মানুষের চারপাশে যা কিছু আছে তাই নিয়ে যা গঠিত তাকে পরিবেশ বলে। যেমন— মাটি, পানি, গাছপালা, নদ-নদী, পশুপাখি, ঘরবাড়ি, বিদ্যালয় ইত্যাদি ।
প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সামাজিক পরিবেশের দুটি পার্থক্য নিচে উল্লেখ করা হলো-
- প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান নিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ গঠিত। অপরদিকে মানুষের সৃষ্ট উপাদান নিয়ে সামাজিক পরিবেশ গঠিত।
- প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদান হলো— মাটি, পানি, বাতাস,তাপ, আলো, গাছপালা, সাগর-মহাসাগর, নদ-নদী, পশু-পাখি ইত্যাদি।অন্যদিকে সামাজিক পরিবেশের উপাদান হলো ঘরবাড়ি,বিদ্যালয়, খেলার মাঠ, কৃষি, পরিবহন ব্যবস্থা ইত্যাদি ।
প্রশ্ন 8। তোমার এলাকায় প্রচুর গাছপালা রয়েছে। এ গাছপালা কোন পরিবেশের উপাদান? গাছপালা বেশি থাকার পাঁচটি সুফল লেখ ।
উত্তর : গাছপালা প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদান ।
গাছপালা বেশি থাকার পাঁচটি সুফল নিচে উল্লেখ করা হলো—
- গাছপালা বেশি থাকলে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে।
- গাছপালা বেশি থাকলে বৃষ্টিপাত বেশি হয়।
- গাছপালায় পাখিরা তাদের বাসা বানায় ।
- গাছ থেকে আমরা বাড়ি ও আসবাবপত্র তৈরির কাঠ পাই।
- গাছ থেকে আমরা নানা ধরনের ফল পেয়ে থাকি ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ আমাদের পরিবেশ ও সমাজ
শিক্ষার্থীরা আজকে আমরা জানলাম আমাদের পরিবেশ ও সমাজ সম্পর্কে । যদি আজকের এই আমাদের পরিবেশ ও সমাজ ভালো লাগে তাহলে এখনি ফেসবুকে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন আর এই রকমই নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ । Search-Asked BD
Post a Comment